কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গত দুই দিনে চারটি অজ্ঞাত মরদেহ ভেসে এসেছে। উপকূলে ভেসে আসা এসব মরদেহ পঁচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে। কোনোটি শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন, আবার কোনোটি হাত-পা বিচ্ছিন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, ১০-১২ দিন আগে সাগরে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে সেন্টমাটিনের দক্ষিণপাড়া এলাকায় ভেসে এল অর্ধগলিত অজ্ঞাত পরিচয় একটি মরদেহ।
এর আগে, গত বুধবার (১৪ জুন) টেকনাফের সাবরাং মুন্ডারডেইল এলাকায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ ভেসে আসে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) শাহপরীর দ্বীপে হাত-পা বিচ্ছিন্ন একটি লাশ এবং ইনানী সৈকতে মাথাবিহীন এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, অন্তত ১৫ দিন আগে মিয়ানমার থেকে মানুষ নিয়ে একটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। সেখানে ট্রলার ডুবি অথবা অন্যকোন দুর্ঘটনায় এসব মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, সকালে জোয়ারের সময় অর্ধগলিত মরদেহটি ভেসে আসে। তবে পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রে কোনো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে।
এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, যে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সবই একেবারে পঁচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাগরে অন্তত ১০-১২ দিন আগে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আজ থেকে অন্তত ১৫ দিন আগে মিয়ানমার থেকে একটি ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। সেখানে সাগরে কোন দুর্ঘটনায় এদের মৃত্যু হতে পারে। গতকাল যে মরদেহ ভেসে এসেছে তার গলায় বাধা একটি লকেটে পাওয়া যায় দুটি নাম্বার। সেই নাম্বারের সূত্র ধরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওসি আব্দুল হালিম আরও জানান, মিয়ানমার থেকে যে ট্রলার মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল, সেটি যদি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে গিয়ে থাকে, তাহলে আরও বেশ কিছু লাশ ভেসে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠকের মতামত